কওম কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটে আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর থেকে চলছে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ৬ দফা দাবিতে এ ‘ধর্মঘট’র ডাক দিয়েছে।
এতে সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবন-জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বেরনো মানুষকে। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন বেশি বিপাকে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় চলাচল করলেও তা যাত্রীদের তুলনায় কম। ফলে পরীক্ষার্থীদের রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার এইচএসসি পরীক্ষার্থী সুহানা বেগম। তার পরীক্ষাকেন্দ্র দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজ। তিনি কওমি কণ্ঠকে বলেন- আজ ‘ধর্মঘট’ হওয়ায় সকাল ৮টায় বের হয়েছি। এখন বাজে ঘড়ি সোয়া ৯টা। সোয়া ঘণ্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়ানো, মিলছে না কোনো গাড়ি। এ অবস্থায় পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়মতো উপস্থিত হওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি।
চাকরিজীবি মিনার হোসেন কওমি কণ্ঠকে বলেন- পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কথা মনে ছিলো না। সকাল ৯টায় বের হয়ে দেখি বাস-মিনিবাস এসব চলাচল করছে না। এখন অফিসে যেতে দেরি হবে। কাজের ব্যাঘাত ঘটবে।
পরিবহন শ্রমিক নেতাদের দাবিগুলো হচ্ছে- সড়ক পরিবহন আইন ২-১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহণের উপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার, সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর বালুর ক্ষতিপূরণ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহি গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।
বিগত দিনে এসব দাবি পূরণ না হওয়া অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।