কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে টানা চতুর্থ দিনের মতো হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি করেছে। আঞ্চলিক এই সংঘাতে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোও জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের নতুন আরেক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলআবিবসহ গোটা ইসরায়েলে সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। বুধবার সকালের দিকে ইসরায়েলি আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রের ধারা স্পষ্ট দেখা গেছে।
এদিকে, ইসরায়েলের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে তেহরানের হাতে বলে দাবি করেছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিজাত শাখা কর্নেল ইমান তাজিক। সম্প্রতি ইসরায়েলও ইরানের আকাশসীমার প্রসঙ্গে একই দাবি করেছে।
মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দু’দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। দ্বিতীয় দফা হামলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় কর্নেল তাজিক বলেছেন, “আজ রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এটা প্রমাণ করে যে আমরা দখলদার বাহিনীর আকাশসীমা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি এবং সেখানকার বাসিন্দারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সামনে সম্পূর্ণ অরক্ষিত।”
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস আগামী শুক্রবার (২১ জুন) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দূতাবাস।
এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি সব মার্কিন কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের বাসস্থানের ভেতরে এবং কাছাকাছি স্থানে আশ্রয় নেবেন।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনিকে হত্যা করা হলে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠন ডন-এর পরিচালক ও আইনজীবী সারাহ লিয়া উইটসন জানিয়েছেন।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন তাতে করে সংঘাত আরও বিস্তার লাভের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ট্রাম্প এর আগে দাবি করেন, “আমরা জানি খামেনি কোথায় আছেন। তিনি খুব সহজ টার্গেট।”