কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটে রুটে ‘হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস’ বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২ নভেম্বর) বেলা ২টায় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে এ মানববন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
এসময় তারা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে হবিগঞ্জ সিলেট এক্সপ্রেস পরিবহনের বাস আটকে রাখেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- ‘সিলেট-হবিগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস’ বাস সার্ভিসের বেপরোয়া চলাচলের কারণে ঘন ঘন দুর্ঘটনা হচ্ছে। হবিগঞ্জের বাসের সাথে দুর্ঘটনা মানেই মৃত্যু। বেপরোয়া ও অপেশাদার চালকের কারণে সবসময় দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে বহু প্রাণহানি ও আহতের ঘটনা ঘটেছে। যা জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এই বাস সার্ভিসের কারণে স্থানীয় পরিবহন খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মহাসড়কে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে।’
সচেতন মহল দাবি করে জানায়, ‘চালকদের অসচেতনতা, প্রতিযোগিতামূলক গতি এবং আইন অমান্য করার প্রবণতার কারণে সড়ক নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।’
বক্তারা বলেন, ‘অবিলম্বে ওসমানীনগর রুটে ‘হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস’সহ বিরতিহীন সকল বাসের চলাচল বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে নিয়মিত মনিটরিং, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে।’
মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী একটি বিরতিহীন যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪৬৪৭) এর সঙ্গে সিলেটগামী যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ১২-৪৮৫৫) মুখোমুখি এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মারা যান হারুন মিয়া ও তার শিশু কন্যা আনিসা। আহত হন আরো ৪ জন।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস বাস সিলেটগামী আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। ভিডিও ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে ওসমাননগরসহ সিলেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া প্রায় সব সময়ই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে হবিগঞ্জি বাস।