কোম্পানীগঞ্জে আ. লীগ নেতা আলফু চেয়ারম্যান গ্রেফতার

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সাদাপাথর ও বালু লুটের শীর্ষ আসামি, তিনটি হত্যা মামলাসহ মোট সাতটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রতন শেখ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সাদা পাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুটসহ বিভিন্ন স্থানে বেআইনি বালু উত্তোলনের ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলায় কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া শীর্ষ আসামির তালিকায় ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও আলফু চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু লুট করতেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিলেট অঞ্চলের কোয়ারিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু তাদের সঙ্গেও আপোষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলফু চেয়ারম্যান ফের লুটের রাজত্ব অব্যাহত রাখেন। ধলাই নদীর একটি বালু মহালের ইজারা পান আলফু চেয়ারম্যানের ভায়রাভাই হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। ওই ইজারার মূল ‘সেলেন্টার দাতা’ ছিলেন সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, যিনি আলফু চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই।

তিনজন: আলফু, মকসুদ ও হাফিজ আব্দুল্লাহ মিলে নতুন উদ্যোমে লুটপাট শুরু করেন। গত ২৩ এপ্রিল থেকে বালু মহালের ইজারা দেখিয়ে সাদা পাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় প্রকাশ্যে লুটপাট শুরু হয়, যা ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলতে থাকে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে গুলি করে পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আলী (৩৫) হত্যা করা হয়। নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হক বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরের ২৬ আগস্ট দেশত্যাগের সময় আলফু চেয়ারম্যানকে তামাবিল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

ওসি রতন শেখ বলেন, কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পাথর-বালু লুটের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

(মূল রিপোর্ট : ইমজা নিউজ)