কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) অপসারিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের বৈধ উপায়-বহির্ভুত অবৈধ সম্পত্তির মালিক হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছে দুদক।
দুদকের পরিচালক (মানিলন্ডারিং) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এবিষয়ক একটি আদেশের কপি আনোয়ারুজ্জামানের সিলেট মহানগরের পাঠানটুলাস্থ বাসার দরজায় টানানো হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আসা ৩ সদস্যের একটি দল এ নোটিশ টাঙান।
দুদকের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস যে- আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জ্ঞাত আয়ের বহির্ভুত স্বনামে বা বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ধারা ২৬ এর উপধারা (১) এর ক্ষমতাবলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও তার উপর নির্ভরশীলদের স্বনামে বা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য নোটিশে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বিবরণী জমা না দিলে কিংবা মিথ্যা বিবরণী জমা দেয়া হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।