কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার গড় পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৮৩.০৪ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ১৪.৯৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।
প্রতিবছরের মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। তবে সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি জানান, এবার গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮.৪৫ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৪৩ হাজার ৯৭ জন।
এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬১৬ জন এবং ছাত্র ৬৫ হাজার ৪১৬ জন।
এদিকে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেটে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। এবছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৭১ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা দুইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
এবছর সিলেট বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২ হাজার ২১৯জন। তার মধ্যে পাস করেছে ৭০ হাজার ৯১ জন। এরমধ্যে ছেলে ২৮ হাজার ৬৮৪জন ও মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৭জন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪ জন। তার মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৯১ জন ও মেয়ে ১ হাজার ৮২৩ জন।
এবছর পাসের হারে ছেলে ও মেয়েদের পার্থক্য খুব নেই। ছেলেদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬২ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একইভাবে জিপিএ-৫এও ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের তীব্র প্রতিযোগীতা হয়েছে। এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯১ জন ও মেয়েদের সংখ্যা ১ হাজার ৮২৩ জন।
চলতি বছরে সিলেটের ৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। তবে শতভাগ ফেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেই। গত বছর শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩১টি। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ২৩টি।