ওসমানীনগরে দুর্ঘটনা, বাবার পর মেয়েও না ফেরার দেশে

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটের ওসমানীনগরে প্রাইভেট কার ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুজনে দাঁড়িয়েছে। কারচালক হারুন মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে মারা তারা ৮ বছরের মেয়ে আনিসা বেগম।

তাদের বাড়ি ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকায়। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ওসমানীনগরের দয়ামীর এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া।

জানা যায়, হারুন মিয়ার স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে থাকেন বাবার বাড়িতে। বড় মেয়েকে দেখতে চেয়েছিলেন তার স্ত্রী। তাই মার সঙ্গে দেখাতে করাতে বড়মেয়ে আনিসাকে সঙ্গে নিয়েছিলেন হারুনঅ। এ সময় হারুনের সঙ্গে ছিলেন- তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।

নিহত হারুন মিয়ার মামা দবির মিয়া বলেন, ‘আমার ভাগ্নে তার বড় মেয়ে আনিছা ও তার ৩ বোন ও ভাগ্নিপতিকে নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে সিলেট যাচ্ছিলেন। তার বোনের আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য তারা যাচ্ছিলেন। যাবার পথে হবিগঞ্জি বাসের সরাসরি সংঘর্ষ লেগে বাবা মেয়ে দুইজন মারা যান। অন্যরা গুরুতর আহত হয়েছেন।’

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতদের মরদেহ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।