কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিতকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এখানে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ এবং সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক ছিলো।
জানা গেছে, রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিলেট চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটের ৫ দিন আগেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেল এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করছে।
সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- নিরঙ্কুশ বিজয়ের জোয়ার দেখে একটা পক্ষ নির্বাচন স্থগিত করিয়েছে। রবিবার বিকেল চারটায় নগরীর একটি হোটেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছেন এ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ফাহিম আহমদ চৌধুরী অভিযোগ করেন একটা পক্ষ সিলেট চেম্বারের নির্বাচন চায় না। তাঁরা সব সময়ই বিশৃঙ্খলা করে যাচ্ছে। এরাই জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করিয়েছে।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলন শেষে রবিবার বিকাল চেম্বারের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেল- সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম-এর নেতৃবৃন্দ সমঝোতা-বৈঠকের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে যান। কিন্তু সেখানে দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সেটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। এসময় তাদের উপভয়পক্ষের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সেখানেই মিটমাট হয়।
একটি সূত্রের দাবি, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক আমিরুজ্জামান দুলুসহ চারজন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি একটি আবেদন জানানো হয়। যার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলো।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, “চিঠিতে বলা হয়েছে ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার কথা। মূলত তালিকায় কিছু সমস্যা নিয়ে কয়েকজন সদস্য অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
উল্লেখ্য, চেম্বার নির্বাচনে দুটি প্যানেল রয়েছে। সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম। এই দুই প্যানেলে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।