কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পানির ট্যাংকের প্লাস্টার (পলেস্তারা) খসে পড়ে নিহত মো. সুমন হোসেন (৩৯)-এর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দাফন-কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত সুমন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার বিলনাথুর গ্রামের মো. ইসলাম হোসেনের ছেলে। তিনি সিলেটে থেকে সৌদিয়া নামক প্রতিষ্ঠানের অধীনে ওসমানী হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে (চুক্তিভিত্তিক) কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, লাশের ময়না তদন্ত চলছে। শেষে হলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দাফনের জন্য মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছে হাসপতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সুমন সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে মেডিকেল কলেজ এরিয়ায় হযরত শাহজালাল ছাত্রাবাসের বিপরীতে পানির ট্যাংকি-সংলগ্ন বন্ধ থাকা টিন শেডের দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা ট্যাংকি থেকে একটি বড় প্লাস্টারের অংশ খসে সোজা তার মাথায় পড়ে। এতে তার মাথা পুরোপুরি থেতলে যায়। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুমনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সহকর্মীরা (ওসমানীর আউটসোর্সিং স্টাফ) এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন এবং সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশের উপস্থিতি ও ওসমানী হাসপাতালের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কওমি কণ্ঠকে বলেন- ‘নিহত সুমন যদিও সরাসরি আমাদের কর্মচারী নন, একটি কোম্পানি মাধ্যমে চুক্তিভিক্তিক কর্মরত ছিলেন। তবু দাফন-কাফনের জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে কিছু আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের কাউকে তাঁর জায়গায় নেওয়া যায় কি-না সে বিষয়ে বিবেচনা করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
তিনি আরও বলেন- ‘পানির ট্যাংকিটি ওসমানী কলেজ এলাকায়। তাদের এবং সৌদিয়া কোম্পানিরও সুমনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কওমি কণ্ঠকে বলেন- লাশের ময়না তদন্ত চলছে। পরিবার জানিয়েছে- কারো বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।