কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
ইনকিলাব পত্রিকায় ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে সিলেটে আদালতে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট শামীম আহমেদ। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার তেঘরি গ্রামের তেরা মিয়ার ছেলে এবং সুপ্রিম ও সিলেট জেলা জজ কোর্টের আইনজীবি।
মামলায় ইনকিলাব সম্পাদক ও বিশ্বনাথ উপজেলা প্রতিনিধিসহ মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‘দৈনিক ইনকিলাব' পত্রিকার ৯নং পৃষ্ঠায় ৫নং কলামে “কোটি টাকার খাস জমি আত্মসাৎ চেষ্টা: বিশ্বনাথে উত্তেজনা” শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। এতে অ্যাড. শামীমের মৌরসী সম্পত্তিকে সরকারের খাস খতিয়ানের ভূমি বলে তুলে ধরা হয়েছে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই আইনজীবির মানহানি করার উদ্দেশ্যে উক্ত সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়- “এডভোকেট শামীম গংরা বর্ণিত ভূমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করিয়া আসছে।”
প্রকাশিত সংবাদের ৩য় প্যারায় মিথ্যাভাবে উল্লেখ- “সরোজমিনে জানান যায় যে, সরকারী এ ভূমিতে গ্রামবাসী গোচরন ও খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ভূমি দখল করতে না পেরে চাঁন মিয়া ও ভাতিজা ৬/৭ টি ফৌজদারী মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রামবাসীকে হয়রানী করে আসছে।" যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে নালিশকারীর চাচা চাঁন মিয়া গত বছরের ১২ অক্টোবর মারা যান। মৃত্যুর পূর্বে তিনি বাদী হইয়া কাহারো বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন নাই এবং অ্যাড. শামীম নিজেও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন নাই। বিগত সেটেলমেন্ট জরিপের সময় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বর্ণিত ভূমির মন্তব্য কলামে চা মিয়া, পিতা আয়াত উল্লার নামে বিএস রেকর্ডভুক্ত করে। সংবাদে বর্ণিত নালিশা ভূমি এস.এ খতিয়ান নং- ০৩ ও বিএস খতিয়ান নং- ২৯৪। উক্ত ২৯৪ নং বিএস খতিয়ানের ভূমির মালিক হলেন অ্যাড. শামীমের পিতামহ আয়াতউল্লাহ। আয়াতউল্লাহ এসএ রেকর্ডের পূর্ব হতে নালিশা ভূমিতে ভোগদখলকার থাকাবস্থায় এসএ ডিপি ১/২ খতিয়ানে ৯ এবং ১১০ দাগের দখল কলামে তাঁর নাম লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু এস.এ জরিপ কর্মকর্তাগণ এস.এ জরিপে রেকর্ড চূড়ান্ত করার সময় আয়াতউল্লাহর স্বত্ব দখলীয় ভূমি তাঁর নামে ভুলবশতঃ এস.এ রেকর্ডভুক্ত না হওয়ায় আয়াত উল্লাহ বাদী হয়ে স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত রায় ডিক্রিমূলে আতাউল্লাহর নামে বিএস ২৯৪ খতিয়ান রেকর্ড প্রস্তুত হয়ে অদ্যাবধি স্থিত রয়েছে এবং তাদের দখল বিদ্যমান রয়েছে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটে মহানগর দায়রা জজ আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাড. আব্দুল মুকিত অপি।