কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটি আঞ্চলিক নাটকের অভিনেত্রী সুমাইয়া আক্তার মৌকে সন্দেহভাজন হিসেবে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাকে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মৌ’র কাছে ঘুমের ওষুধ ও মাদক-সদৃশ্য দ্রব্য পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে তাকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।
সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান রোববার রাতে কওমি কণ্ঠকে জানান- শনিবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর একটি টিম বাইশটিলা এলাকার চেক পোস্টে ধরে। ওই নারী একট গাড়িতে করে সিগারেট খেতে খেতে আরও কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে আসছিলেন। এসময় সেনাবাহিনী তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সদোত্তর দিতে পারেনি। বিশেষ করে ওই নারী অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। এছাড়া তার কাছে ঘুমের ওষুধ ও মাদক-সদৃশ্য দ্রব্য পাওয়া গেছে এবং তিনি উগ্র আচরণ করছিলেন। পরে সেনাবাহিনী সে ও তার দুই পুরুষ সঙ্গীসহ ৩ জনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা এই ৩ জনকে আজ (রোববার) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করি।
জানা গেছে, সুমাইয়া আক্তার মৌ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর বাসার শাহেদ মিয়ার মেয়ে। তিনি অভিনেত্রী ও মডেল হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সাল থেকে তিনি আলোচনায়। ওই সময় তিনি তার দুই প্রেমিকসহ বন্দরবাজার থেকে গ্রেফতার হন।
এর আগে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়- ২০১৪ সালের জুন মাসে সুমাইয়া আক্তার মৌ সিলেটের হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ী সবুজ ও সাজুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। ওই সময় বেশ কয়েক মাস ওই দুই যুবকের সঙ্গে একযোগে প্রেম চালিয়ে যান। ওই সময় তার স্বামী নগরের কুমারপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলামের অজান্তে সবুজ ও সাজুকে নিয়ে মৌ অনেক স্থানে নির্জনে সময় কাটান। একপর্যায়ে সবুজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাগ বসানোর চেষ্টা করেন মৌ। এই বিষয় এবং মৌ-এর সঙ্গে সবুজ ও সাজুর ত্রিভুজ প্রেম নিয়ে ত্রিমুখী বিরোধ বাঁধে। এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে ২০১৪ সালের ১২ জুন।
এদিকে, সুমাইয়া আক্তার নেশার টাকা জোগাড় করতে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করেন। টাকা না পেলে মামলা- বিশেষ করে ধর্ষণ মামলা দেওয়ার ভয় দেখান বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে শাহনেওয়াজ শাহিন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধেও তিনি নারী নির্যাতনের মামলা দিয়েছেন। যার কারণে শাহনেওয়াজ শাহিন বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।