- শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
গত ৩ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. তারিকুল ইসলামকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট-এর সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানির পরই সিলেটে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
ক্ষুব্ধ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা। তাদের অভিযোগ- প্রফেসর মো. তারিকুল ইসলাম স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের ঘনিষ্টজন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত আদেশ নং ৩৭.০০.০০০০.০৯০.০২.০০৫.২০২৫-২২০ অনুযায়ী মো. তারিকুল ইসলাম (আইডি: ৪২৪৩), অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, উপাধ্যক্ষ, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ, সিলেটকে সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট পদে প্রেষণে পদায়নের আদেশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু মো. তরিকুল ইসলাম একজন প্রাক্তন বিতর্কিত শিক্ষাপ্রশাসক, যিনি দীর্ঘদিন যাবত ফ্যাসিবাদী শাসনের ঘনিষ্ঠ ‘দোসর’ হিসেবে পরিচিত। তাকে শিক্ষা বোর্ডের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়াকে আমরা ‘জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে উপহাস’ হিসেবে দেখছি।
শিক্ষার্থীরা মো. তারিকুল ইসলামকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব হিসেবে পদায়নের আদেশ বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষা বোর্ড থেকে ফ্যাসিবাদপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ করে প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবপন্থী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, প্রফেসর মো. তারিকুল ইসলাম বিয়ানীবাজার কলেজের উপাধ্যক্ষ হওয়ার পর বলেছিলেন- ‘শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ আমাকে উপাধ্যক্ষ বানিয়েছেন এবং বিয়ানীবাজার কলেজ থেকেই অবসরে যেতে চাই- এটাই আমার অন্তিম চাওয়া’।