কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ও সিলেট-৩ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এম এ সালাম বলেছেন- চলমান রাজনীতীতে একটি আলোচিত ইস্যু সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সংস্কার করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যিনি চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন । ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন এবং ক্রেয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। এই সংস্কারগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিএনপিই একমাত্র দল, যার উপরে জনগণ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় পূর্ণ আস্থা ও ভরসা রাখতে পারেন ।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আগামীর বাংলাদেশ এবং তারেক রহমান' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট মহানগরের উপশহরস্থ একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এ সভায় ব্যারিস্টার এম এ সালাম আরও বলেন- সম্প্রতি নির্বাচন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, “জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চিন্তা-ভাবনা করে প্রস্তাব দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই উত্তম প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাব ভালো হলেও সব প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য উপযোগী কি না, সেটি বিবেচনা করার জন্য আহ্বান রইলো। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থার দাবি তুলেছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় এবং ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে এই ব্যবস্থা কতটুকু উপযোগী? তা গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখার জন্য সবার কাছে অনুরোধ করছি। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থাকে শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত রাখতে হলে, বাংলাদেশকে তাঁবেদারমুক্ত রাখতে হলে এই মুহূর্তে জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থার আড়ালে পুনরায় দেশের রাজনীতিতে নিজেদের অজান্তে পতিত পরাজিত ও পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসনের পথ তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে কি না এই বিষয়টিও আমাদের প্রত্যেকের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা দরকার। আমি মনে করি- নিত্যনতুন বিষয় যদি আমরা সামনে নিয়ে আসতে থাকি, এর সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পাবে।”