সুনামগঞ্জে মজলিস নেতাকে পেটালেন জমিয়ত নেতাকর্মীরা

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার , সুনামগঞ্জ :

দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনি গণসংযোগ ও সভায় অংশ নেওয়ার কারণে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতাকে পেটালেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতাকর্মীরা। শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নে হোসেন পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জ- ৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি আজিজুল হক। তার নির্বাচনি গণসংযোগ ও সভায় অংশ নেন সদর উপজেলা শাখার সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা রইছ উদ্দিন। এর কারণে তাকে মারধর করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

আহত মাওলানা রইছ উদ্দিন সুলতানা পারভীন নুরানিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা মাদরাসার মুহতামিম।

এদিকে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান জানান, এটি কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। গৌরারং ইউনিয়নে আলেম ওলামাদের একটি সামাজিক সংগঠনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এ সংগঠনে খেলাফত মজলিস ও জমিয়তের লোকজন আছেন। কিন্তু খেলাফত মজলিসের নেতারা এটিকে রাজনৈতিক রুপ দিয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করছেন। ঘটনার পর খেলাফত মজলিসের নেতাদের বিষয়টি সমাধানের কথা বললেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল ইসলাম বলেন, আমাদের সদর আসনের এমপি প্রার্থী মুফতি মোহাম্মদ আজিজুল হকের নির্বাচনি গণসংযোগ ছিল গতকাল শনিবার। মাওলানা রইছ উদ্দিন এলাকায় প্রচারণ করছিল। এটিকে জমিয়ত নেতারা ভালোভাবে নেয়নি। জোর করে গণসংযোগে যেতে বাধা দেয়। জমিয়তের সভায় যেতে তাকে জবরদস্তি করা হয়। তাদের কথা না শুনলে তাকে বেধড়ক মারধর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। সিএনজিতেও মারধর করে। পরে টুকের বাজার মাদরাসায় নিয়ে আরও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় আমরা সদর থানায় মামলা করেছি। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।

আহত মাওলানা রইছ উদ্দিন বলেন, আমি একটি মাদরাসার মুহতামিম। কিছুদিন হয় খেলাফত মজলিসে যোগদান করেছি। আজ আমার মাদরাসায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আজিজুল হকের আসার কথা। এদিকে গতকাল শনিবার জমিয়তও একটি সভা ডেকেছে টুকেরবাজার মাদরাসায় । ঐ সভায় আমাকে নিতে জমিয়ত নেতা আরশাদ নোমানের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক আসেন। আমি সভায় যোগ দিতে পারবো না বললে তারা আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মারতে মারতে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায় টুকের বাজার মাদরাসায়। মাদরাসায় নেয়ার পর একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে দলবদ্ধ হয়ে আমাকে ঘুষি মারে। আমার শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে জখম হয়েছে। হাঁটতে পারছি না। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।