কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু থাকলেও এ দুটি ফ্লাইটে সিলেটের ওমরাহ যাত্রীদের জন্য মাত্র ৫০টি সিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় সিলেটের ওমরাহ যাত্রীদের ঢাকা থেকে ফ্লাইট দিতে হচ্ছে। ফলে সিলেট থেকে ওমরাহ প্যাকেজের মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)- সিলেট অঞ্চলের পক্ষ থেকে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে তারা সিলেট থেকে এ দুটি রুটের ফ্লাইটে অন্তত ৩০০ আসন বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদারের মাধ্যমে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
হাব সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল হক ও সেক্রেটারি মু. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, আসন্ন ওমরাহ মৌসুম উপলক্ষে এর অন্তর্ভুক্ত এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে ওমরার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওমরাহ নিয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলের ওমরাহ যাত্রীদের পছন্দের ক্যারিয়ার হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু বিমানে পর্যাপ্ত আসন না পাওয়ায় আমাদের বাধ্য হয়ে ঢাকা থেকে যাত্রী পাঠাতে হচ্ছে। স্মারকলিপিতে এও উল্লেখ করা হয়, বিগত বছরগুলোতে ওমরাহ মৌসুমে সিলেট টু জেদ্দা ও মদিনা রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট থাকলেও এসব ফ্লাইটে ঢাকার অধিকাংশ যাত্রী পরিবহন করা হয়। এ অবস্থায় সিলেটের ওমরাহ যাত্রীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতি ফ্লাইটে গড়ে মাত্র ৫০-৬০ জন সিলেটের যাত্রী টিকিট পেয়ে থাকেন। এ অবস্থায় সিলেটের যাত্রীদের বাধ্য হয়ে ঢাকা থেকে পাঠাতে হচ্ছে। ফলে তাদের দুর্ভোগও বাড়ছে।
হাব সিলেট অঞ্চলের সেক্রেটারি মু. আব্দুল কাদির বলেন, সিলেটের জন্য চালু হওয়া ফ্লাইটে সিলেটের যাত্রীরা বরাবরই উপেক্ষিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক মো. শাহনেওয়াজ মজুমদার জানান, হাব নেতৃবৃন্দের একটি স্মারকলিপি তারা পেয়েছেন। বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন।
(মূল রিপোর্ট : সিলেটের ডাক)