কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম (এতিছানগর) গ্রামের মানসিক ভাসাম্যহীন সাবু আহমদ। ঘুরে বেড়াতেন এখানে-ওখানে। পরিবারের কাউকে কিছু না বলেই উধাও হয়ে যেতেন বেশিরভাগ সময়।
ঠিক এভাবে ৮ দিন আগে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
শনিবার (২১ জুন) রাত ১০টার দিকে তার পরিবারের লোকজন ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন- একটি লাশ জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে পড়ে রয়েছে। পরে সাবুর ভাই বাবুল আহমদ হাসপাতালে গিয়ে লাশটি তার বড় ভাইয়ের (সাবু) দাবি করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফন-কাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু শনিবাদ দিবাগত গভীর রাতে তাদের পরিচিত একজন জানান- তার ভাই সাবু আহমদ বেঁচে আছেন এবং স্থানীয় গঙ্গাজল বাজারে আছেন।
সঙ্গে সঙ্গে তারা গঙ্গাজল বাজারে গিয়ে সাবুকে জীবিত দেখতে পান।
এদিকে, সাবু দাবি করে নিয়ে আসা অজ্ঞাত লাশটি স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী নেতারা দাফনের ব্যবস্থা করেন।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন জকিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন- রোববার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় এতিছানগর জামে মসজিদে জানাজা শেষে বাবুর বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে লাশটিকে। আমি ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলে মানবিক দিক চিন্তা করে জানাজা পড়াই এবং দাফনের জন্য বলি।
জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুল আহাদ জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় লাশ সিলেটে পাঠানোর উদ্যোগ নেই। ঠিক তখনই লাশের ভাই ও আত্মীয়স্বজন পরিচয়ে লোকজন এসে লাশটি নিয়ে যান। এখন শুনছি ওই ব্যক্তি নাকি তাদের কেউ না।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, একজন অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা করার আগেই ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে লাশের দাফন-কাফন ও কবর খোড়ার আগেই সাবু আহমদ জীবিত আছেন বলে পরিবার জানতে পারে। তবে ওই লাশ আর ফেরত দেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা মানবিক আবেদন করে লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেছেন।