কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সজল মিয়া (২০) নামের এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। এ ঘটনায় গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নিহতের মা। যাতে নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাসহ ৬২ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।

গত ১৬ মে রাতে সজল মিয়ার মা রুনা বেগম (৪৭) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় রোববার রাতে।

শেখ হাসিনা বাদে মামলার আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান (৩৭) ও ভাতিজা আজমেরী ওসমান (৪৫)।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন- ২০২৪ সালের ২০ জুলাই  বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সজল মিয়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন। সেদিন মামলায় উল্লেখ আসামিরা জনতাকে প্রতিহত করতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ওই সময় আসামিদের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে সজলের পেটে গুলি লাগে। তখন ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন তাকে তাৎক্ষণিক চিটাগাংরোডের সুগন্ধা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, ‘সারা দেশে গ্যাজেট প্রকাশের পর নিহত সজলের মা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।’

(রিপোর্ট : যুগান্তর)