কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির একাংশ সংবাদ সম্মেলন করেছে। বুধবার (৮ মে) বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে জেলা কমিটির আহ্বায়ক (একাংশ) বলেন- আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, জুলাই-আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ ও আহতদের, যাদের রক্তের উপর দিয়ে উদিত হয়েছে একটি নতুন সূর্য এবং আমরা পেয়েছি একটি নতুন বাংলাদেশ।
সম্প্রতি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম কর্তৃক জেলার আহ্বায়ক কে অব্যাহতি মর্মে একটি ভূয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ অবৈধ ভুয়া এবং ভিত্তিহীন । সিলেট জেলা ও মহানগরের সকল শিক্ষার্থীরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ঘৃনা ভরে প্রত্যাখান করছি।
এটি ব্যাক্তিগত ভাবে ও হিংসাত্মকভাবে করা হয়েছে যা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ ।
এই সিদ্ধান্তে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির ২৭২ জন সদস্যের মধ্যে ২৫৪ জন সদস্য এই বিষয়ে অবগত নন ।
এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি কে অবগত না করে জেলা কমিটির সদস্যদের মতামত কে প্রধান্য না দিয়ে সেখানে কেবলমাত্র সংগঠনের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম অন্যায় ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভিত্তিহীন সিদ্ধান্ত । এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তি সংগঠনের ভাবমূর্তি কে ক্ষুন্ন করে এবং সংগঠনের ঐক্যকে বিনষ্ট করে ।
যদি এমন কোন অব্যাহতি দিতে হয় তাইলে এটা সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটির এখতিয়ার এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঘোষণা আসতে হবে। কিন্তু সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটি কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেখানে স্বেচ্চাছারীতা ও অসাংগঠনিক কাজ করেছেন ।
পরবর্তীতে সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম কর্তৃক আরও দুটি আলাদা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া না মেনে সালমান আহমদ খোরশেদকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া কে ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। যা নিয়ম বহির্ভূত ও অসাংগঠনিক কাজ-
যা সদস্য সচিবের কোনো এখতিয়ার নেই ।
এর ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীর মনে একপ্রকার উদ্বেগ প্রকাশ পাচ্ছে এবং সংগঠনের মধ্যে বিভাজন ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের শিক্ষার্থীরা সদস্য সচিব কর্তৃক উপরোক্ত সিন্ধান্তগুলো কে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করছি।
এবং একের পর এক সাংগঠনিক নিয়ম বহির্ভূত সিদ্ধান্ত ও অবৈধ কার্যক্রম করার কারণে নুরুল ইসলামক কে সিলেট থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো ।
আমি জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেন কমিটির সবাইকে নিয়ে দায়িত্বশীল সাথে আমাদের জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্মকে বুকে ধারণ করে জুলাই ২৪ এর স্প্রিডকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের স্বার্থে বাংলাদেশের সার্বভৌত্বের রক্ষার্থে আমাদের কার্যক্রম বিগত দিনের মত আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে ।
আপনারে জানেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।
যা বিপ্লবউত্তর দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায়, বৈষম্য, জুলুম এর বিপক্ষে সুসংঘটিত করা হয়েছিল। যা কোন রাজনৈতিক দলের লেজুর ভিত্তি করে না বা কোন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের, অঙ্গ সংগঠন নয়। কিন্তু!!আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার কয়েকজন পদ প্রাপ্ত ভাই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ।
যা সম্পূর্ণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর ব্যানারের নীতি পরিপন্থী কাজ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এর ফলে জনমনে এক প্রকার উদ্বেগ, আলোচনা- সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানার কে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।
আমরা আজকের এই সংবাদ সম্মেলন থেকে এটা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই। যে, যদি কোন সহযোদ্ধা কোন রাজনৈতিক দল বা ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হতে চান তাহলে অবশ্যই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানার থেকে অব্যাহতি নিয়ে তাকে রাজনৈতিক দল বা ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হতে হবে। অন্যতায় সংগঠন তার নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।