সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া হোসাইনিয়া গহরপুর-এর নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ছাত্রদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
গত মারকাযি ইমতেহানে মেধাতালিকা, বার্ষিক পরীক্ষায় সকল কিতাবে আশি-ঊর্ধ্ব মুমতায, সাধারণ মুমতায, জামাতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান, সারা জামিয়ায় মেধাতালিকা, শাস্ত্রভিত্তিক সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তি, সারা বছর দারসে উপস্থিতিসহ বেশ কিছু বিষয়ে প্রায় চার শতাধিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জামিয়ার মসজিদে হাফেজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন আহমদ গহরপুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ছিলো নবীনবরণ। পুরাতন স্বাগতিক ছাত্র ফুল দিয়ে ইলমের নতুন মৌমাছিদের বরণ করে একসাথে পথচলার অঙ্গীকার করেন।
বছরের পর বছর ধরে নতুন-পুরানের এমন সন্ধি, বিচ্ছেদের দেয়ালে লিখে দেয় বন্ধনের কবিতা।
শেষ পর্বে ছিলো নসীহতমূলক আলোচনা। এতে জামিয়ার উস্তাদদের মধ্য থেকে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নসীহত করেন জামিয়ার শিক্ষা-সচিব মুফতি আনোয়ার হোসাইন শরিয়তপুরি, প্রধান মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা মুজিবুর রহমান সারিঘাটি, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হাজিপুরী, মাওলানা সাঈদুর রহমান মুক্তাগাছা, মুফতি সালেহ আহমদ মক্কী, মুফতি মুহিউস সুন্নাহ প্রমুখ।
নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়া-লেখায় মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি আননূরের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে নিজেদের মেধাকে শানিত এবং এমন কাজের সুযোগ পাওয়াকে নিজেদের জন্য গণীমত হিসেবে গ্রহণ করার নসিহত করেন বক্তারা। জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তা নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন ও অন্যদের নিকট পৌঁছানোর মাধ্যম সমূহ আয়ত্ব করার প্রতি গুরত্বারোপ করেছেন উস্তাদবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন আহমদ গহরপুরী বলেন; ভুল তথ্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য, হীনমন্যতা, নেতিবাচক চিন্তা হলো শয়তানের হাতিয়ার। এর দ্বারা শয়তান আমাদেরকে শিকার করে। ছাত্ররা যেনো ইন্টারনেট ব্যবহারে চিন্তা ও সংযমের পথ বেছে নেয় সে উপদেশও দেন।
এর আগে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আননূর-দয়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বছর তাকমিল ফিল হাদীসের ছাত্র জাকির সুহরাবকে সাধারণ সম্পাদক ও মাহমুদ হাসান চৌধুরীকে সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।