কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ :
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কাপাই চা বাগানে মাটিতে পুঁতে রাখা লাশ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহতের নাম লিটন মিয়া (৩২)। তিনি জেলার মাধবপুর উপজেলার গোয়াছ নগর গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে।
পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে লিটনকে এক সপ্তাহ আগে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিলো হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ চা বাগানে পুঁতে রাখেন হত্যাকারীরা।
এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ৩ এপ্রিল লাকড়ি সংগ্রহের জন্য সাতছড়ি বাগানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন লিটন। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাননি।
পরে বুধবার লিটনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চুনারুঘাট উপজেলার কাপাই চা বাগান বাজার থেকে প্রমোদ রিকমন (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেন তারা। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাপাই চা বাগানের ৯ নম্বর লাইনের পাহাড়ি এলাকায় মাটির নিচ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে লিটনের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া প্রমোদ জানান- সম্প্রতি তার ১০টি গরু চুরি হয়। গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় লিটনকে চোর সন্দেহে আটক করে প্রমোদসহ কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করেন। এতে মারা যান লিটন। পরে লাশটি মাটিতে পুঁতে রাখেন মারধরকারীরা।
চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম বলেন- ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।