‘হাসিনাকে ফেরালে আমরা শতাব্দীর সেরা বিচার দেখবো’

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তার দেশে অবস্থান করা পতিত শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকার এমন প্রস্তাবে দিল্লির প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (৫ এপ্রিল) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, যখন অধ্যাপক ইউনূস শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করেন, তখন ভারতের প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না। আমরা আত্মবিশ্বাসী, একদিন শেখ হাসিনাকে ঢাকায় প্রত্যর্পণ করানো হবে এবং আমরা ‘শতাব্দীর সেরা বিচার’ প্রত্যক্ষ করব!

তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অত্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করেন। তাঁর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার ভালো সম্পর্ক থাকলেও বৈঠকে মোদি বলেন, ‘আমরা আপনার (ড.ইউনূসের) প্রতি তার (শেখ হাসিনার) অসম্মানজনক আচরণ দেখেছি। তবে আমরা আপনাকে সব সময় সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে আসছি।

শফিকুল আলম বলেন, এটি স্পষ্ট যে, ভারত এখন বাংলাদেশকে নিয়ে সম্পর্কের এক নতুন পথ রচনার ইচ্ছা রাখে।

বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বারবার অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়!

তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যেমন সম্প্রতি একাধিকবার বলেছেন, আমরা ভারতের সঙ্গে ‘সর্বোত্তম সম্পর্ক’ চাই। তবে সেটি হতে হবে ন্যায্যতা, সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। ইন্টারপোলের কাছেও রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষপটে গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনাকে ফেরত চান ড. ইউনূস।